<p>সুন্দরবনে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক টুরিস্ট বেড়াতে আসেন।ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করায় সুন্দরবনের প্রবেশ মুখে এসে তাদেরকে পারমিটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।অনেক ট্যুরিস্ট সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পারমিট গ্রহণ করতে পারেন না। এতে করে সরকারি রাজস্ব কম হচ্ছে, স্থানীয় জনগণ আর্থিকসুবিধার কম পাচ্ছে, ট্যুর অপারেটরগণ আর্থিকভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। সর্বোপরি ট্যুরিস্টজম খাত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে । আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার না থাকায় ট্যুরিস্ট / ট্যুরিস্টবাহী জলযানের গতিবিধি পর্যবেক্ষন করা যায় না। ফলে সাধারণ পর্যটকগন নিরাপত্তা ঝুকিতে থাকে।</p>
<p style="margin-left:.25in">ওভারনাইট ট্যুরিজম এর ক্ষেত্রে</p> <p> ওয়েবভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরি করে ওয়েবসাইটে অনলাইন আবেদন দাখিল, পারমিশন প্রদান ও রাজস্ব জমা পদ্ধতির প্রবর্তন করা হবে।সুন্দরবনের প্রবেশমুখে (মংলা/মুন্সীগঞ্জ/খুলনা) “One Stop” Service সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে । যেখান থেকে যেকোন দিনে যে কোন সময় সর্বোচ্চ তিন ঘন্টার মধ্যে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ, অনুমতি প্রদান, রাজস্ব জমা ও স্কট প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।ট্যুরিস্ট জলযানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিটি নৌকায় একটি করে জিপিএস প্রদান করা হবে । ফেরার পথে সংশ্লিষ্ট স্টেশন / ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে জিপিএস জমা দিতে হবে। জিপিএস ট্র্যাক কম্পিউটারে ডাউনলোড করে জানা যাবে ট্যুরিস্ট বোটটি ঝুঁকিপুর্ণ/নিষিদ্ধ স্থানে প্রবেশ করেছে কি না। জিপিএস ট্র্যাক চেক করে গতিবিধি সঠিক পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিকভাবে কম্পিউটারে সেভ করাতথ্য থেকে প্রিন্ট করে CT(Certificate of Transit )প্রদান করা হবে।</p> <p style="margin-left:.25in"> </p> <p>ডে-ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে</p> <p> একটি মোবাইল Apps তৈরি করে আবেদন গ্রহণ করা হবে ।সুন্দরবনের প্রবেশ মুখে নগদে/মোবাইলে রাজস্ব গ্রহণ করা হবে এবং মোবাইলে এসএমএস প্রদান করে অনুমতি প্রদান করা হবে।</p> <p> স্থানীয় নৌকা গুলোকে লাইসেন্স ভুক্তির (BLC) আওতায় এনে সিরিয়াল অনুযায়ী সুন্দরবনে গমন ও ফেরত আসার অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং বর্নিত Apps এর সাথে সংযুক্ত করা হবে ।প্রত্যেক নৌকাকে এসএমএস এর মাধ্যমে সময় বেধে দেওয়া হবে এবং প্রদত্ত সময়ের পরে ফেরত না আসলে এসএমএস এর মাধ্যমে এলার্ট ম্যাসেজ প্রদান করে প্রযুক্তি ভিত্তিক সিস্টেমে আনা হবে । </p>