<p><strong>SAAO </strong> গণ ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করে এবং কৃষকদের মাঠ ঘুরে কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে থাকে । কিন্তু খরচ ও সময় বেশি লাগে বলে দূরের কৃষকগণ ইউনিয়ন পরিষদে যেতে চান না । অপর পক্ষে মাঠে গিয়ে কৃষকদের সবসময় পাওয়া যায় না । এছাড়াও <strong>SAAO </strong> এর অবস্থান সম্পর্কে অনেক কৃষকের জানা না থাকার কারনে কৃষকগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার টেকনিক্যাল সাপোর্ট না থাকার কারনে কৃষক সম্পূর্নভাবে উপকৃত হতে পারছে না। প্রচার-প্রচারনার জন্য কোন মাধ্যমের ব্যবস্থা না থাকার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কৃষি বার্তা সহজে সকল কৃষকের নিকট পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না ।</p>
<p>১। কৃষি সেবা কেন্দ্রে SAAO কে পরামর্শ প্যাড,প্রযুক্তি সংক্রান্ত লিফলেট,রেজিস্টার ইত্যাদি সরবরাহ করা হবে ।</p> <p>২। কৃষকগণ বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য বাজারে এসে কৃষি পরামর্শ গ্রহনে আগ্রহী হবে । কেননা মাত্র একবার গমন করে পন্য/উপকরণ কিনতে পারবে, পরামর্শও পাবে ।</p> <p>৩। কৃষকের বাড়ির নিকটে হওয়ায় অল্প সময়ে মাঠে বিদ্যমান ফসলের সমস্যা নিয়ে আসবে এবং দ্রুত সমাধান পাবে ।</p> <p>৪। ফসল চাষাবাদের পূর্বে কৃষি সেবা কেন্দ্রে গিয়ে SAAO এর নিকট থেকে চাষাবাদ প্রযুক্তি সম্পর্কিত পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবে ।</p> <p>৫। কৃষি সেবা কেন্দ্রে গিয়ে কৃষক গণ বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে লিখিত পেপার্সও গ্রহণ করতে পারবে ।</p> <p>৬। গ্রামের এলিট পার্সন/ কৃষকগ্রুপের সভাপতিদের নিয়ে একটি টিম গঠন করে কৃষি সেবা কেন্দ্রের সাথে যুক্ত করে দেয়া হবে । SAAO সবসময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে । জরুরি কৃষি বার্তা তাঁদের মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে পৌঁছে দিবে । তারা গ্রামের সকল কৃষকের নিকট সংবাদটি প্রচার করবেন ।</p> <p>৭। অনেকসময় কৃষকগণ ফসলের রোগ পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হলে সরাসরি বাজারে কিটনাশক ডিলারের নিকট যায় এবং ভুল কিটনাশক প্রয়োগ করে প্রতারিত হয় ।বাজারে কৃষি সেবা কেন্দ্র থাকলে সেখানে গিয়ে পরামর্শ নিয়ে সঠিক কিটনাশক ক্রয় করে প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে ।</p> <p>৮। সংশ্লিষ্ট SAAO বাজারে বিদ্যমান কৃষি উপকরনের মান নিবির তদারকি করতে পারবেন । ফলে সার ও পেষ্টিসাইডের গুনগত মান বজায় রাখা সহজ হবে ।</p>