প্রকল্প সমূহ

উচুতলা ভবনের জন্য জরুরি এক্সট্রেকশন সিস্টেম
মেধাভিত্তিক প্রশাসন বিনির্মাণে নলেজ-শেয়ারিং প্লাটফরম

Agrovet Solution


চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

<p><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;">আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও দুধ ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হওয়ায় প্রতিবছর প্রায় ১৬,০০০ কোটি টাকার গুঁড়োদুধ ও প্রায় ৩৩% এর বেশি মাংস (জীবিত গরু, মহিষ ও ছাগল হিসেবে প্রতিবেশী দেশ থেকে) আমদানি করতে হয়। কার্যকর প্রজনন ব্যবস্তাপনা না থাকার কারনে আমাদের দেশে আশানুরূপ উন্নত জাতের গবাদি পশু তৈরী হচ্ছে না। ফলে এই খাতটি লাভজনক না হওয়ায় অনেক নতুন উদ্যমী উদ্যোক্তা এগিয়ে আসলেও লাভজনক খামার তৈরি করতে না পেরে নিরুৎসাহিত হয়ে ঝরে পড়ছে। এ ঝরে পড়ার সংখ্যাও ৯৫% এর বেশি। এছাড়াও, এদেশে স্বল্প সংখ্যক সাধারণ মানের ষাঁড়ের বীজ রেকর্ডবিহীনভাবে যথেচ্ছা ব্যবহারের ফলে “ইনব্রীডিং” গবাদিপশুর জাত উন্নয়নে একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে যা সঠিক পেডিগ্রি রেকর্ড সংরংক্ষনের অভাবে ঘটে থাকে। আবার সঠিক সময়ে টিকাদান ও প্রাথমিক চিকিৎসার অভাবে অনেক গবাদি পশু প্রানঘাতি রোগে আক্রান্ত হলে খামারিগণ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। অন্যদিকে উৎপাদনের সাথে খাদ্য ব্যবস্থাপনার সমতা আনা গেলে দুধ অথবা মাংস উৎপাদন অনেক গুনে বাড়ানো যাবে যা বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জ। অধিকন্তু, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে রেকর্ড রাখার জটিলতার কারনে অনেক খামারি রেকর্ড রাখেন না বা রাখলেও কয়েক বছর পর তা হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। ফলে বাংলাদেশ খামার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার তথ্য-উপাত্ত্ব ও দলিল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যা পরবর্তী প্রজন্ম ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারত। পরিশেষে, এ সকল সমস্যার মূল কারণ হলো, ভেটেরিনারিয়ান ও খামারিদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ভুল থেকে লব্ধ শিক্ষা কাজে লাগিয়ে সঠিক প্রজনন ব্যবস্থা সম্বলিত একটি গাইডলাইন বা সিস্টেম এখনও তৈরি হয়নি।</span><br></p><div><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;"><br></span></div>

<p>আমরা ভেটেরিনারিয়ান ও খামারিদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ভুল থেকে লব্ধ শিক্ষা কাজে লাগিয়ে সঠিক প্রজনন ব্যবস্থা সম্বলিত একটি ডিজিটাল সিস্টেম (AgroVet) তৈরি করতে চাই যা আমাদের দেশীয় মাংস ও দুধ উৎপাদনকে স্বয়ংসম্পূর্ণতায় পৌছে দিতে বা কাছাকাছি যেতে সাহায্য করবে । নির্দিষ্টভাবে, AgroVet সিস্টেম একজন খামারির পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল গাইড হিসেবে ব্যবসার সহায়তাকারী হয়ে কাজ করবে যার মাধ্যমে যে কোনো নতুন অথবা চলমান উদ্যোক্তা সঠিক খামার ব্যবস্তাপনার অটোমেটেড পথনির্দেশনা পাবেন। খামারিগণ এই সিস্টেম থেকে খামার পরিচালনার বিভিন্ন সূত্র ও নোটিফিকেশন দৈনিক পাবেন যা অনুসরণ করে তিনি তার প্রত্যেক দিনের কার্যাদি সম্পন্ন করবেন এবং সকল রেকর্ড সহজে সংরক্ষণ করবেন। ফলে একদিকে খামারিগণ উন্নত জাতের গবাদি পশু তৈরী করতে সক্ষম হবেন এবং গবেষকগণ খুব সহজেই তাঁদের গবেষনার নির্ভুল উপাত্ত্ব পেয়ে যাবেন। সেইসাথে ঝরে পড়া উদ্যোক্তাদের সংখ্যাও কমে যাবে। এছাড়াও এই সিস্টেমে চাহিদা অনুযায়ী একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেসের ও ব্যবস্থা করা হবে যা খামারিদের দুধ, মাংস ও গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে । প্রস্তাবিত AgroVet সিস্টেমে গবাদিপশুর পেডিগ্রি তথা "ফ্যামিলি ট্রি" সংরক্ষণ করে “ইনব্রীডিং" সমস্যা দূর করা যাবে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী "ফ্যামিলি ট্রি" বা পেডিগ্রি ডাটাবেস তৈরী করা যাবে। উপরন্তু এর সাথে টিকাদান, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং উৎপাদন ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্বলিত সম্পূর্ণ গাইডলাইন থাকবে। অধিকন্তু, সকল রেকর্ড ডাটাবেসে থাকবে এবং এর ফলে বাংলাদেশের খামার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত্ব ও দলিল থেকে গবেষণার মাধ্যমে দেশ, জাতি ও পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হতে পারবে। পরিশেষে, আমাদের বিগত বছরের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা ও বিশ্বাস, প্রস্তাবিত AgroVet সিস্টেমটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসাবে ডেইরি ও মিট শিল্পে বড় ধরণের বিপ্লব ঘটাবে যা হবে খাদ্যে স্বয়ংস্ম্পূর্নতার পথে একটি মাইলফলক।</p><div><br></div>