• হাতে কলমে করার কারণে সামরিক পেনশনারদের প্রতিবার পেনশন অর্থ প্রাপ্তির জন্য ১ ঘন্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। কৃষি ব্যাংক এ বর্তমানে ১০,৫০০ সামরিক পেনশনভোগী আছেন। • এছাড়াও হাতে কলমে বিল প্রস্তুত করে পাঠানোতে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি হয়, যেমনঃ – সঠিক বাহিনী ও কোর ও বাহিনী অনুযায়ী কলাম উল্লেখ না করা; – পুনঃভরণ বিলের শিরোনামে ব্যাংকের নাম, শাখার নাম ও কোড, মুখ্য আঞ্চলিক/ আঞ্চলিক কার্যালয়ের নাম পরিস্কার ভাবে না লেখা; – ত্রুটিযুক্ত বিল, যেমনঃ অস্পষ্ট/অপঠনযোগ্য হাতের লেখা, কাটাকাটি ও ঘষামাজা/উপরিলিখন/সাদাকালি ব্যবহার করে বিল প্রেরণ করা; – উপস্থাপিত বিলে ডুপ্লিকেট লেখা; – প্রাপ্ত অবসর ভাতার পরিবর্তে অতিরিক্ত বা কম পেনশন করতঃ পুনঃভরণ দাবী করা; – বিলের যোগে ভুল করা/অংকে বা কথায় গরমিল থাকা; – নির্ধারিত সময়ের বিল নির্ধারিত সময়ে প্রেরণ না করা; সকল কলাম যথাযথভাবে পূরণ না করা। – পুনঃভরণ বিবরনীতে সঠিক টিএস নম্বর, পিপিও নম্বর ও বিডি নম্বর না লেখা/ভুল লেখা/ ক্রমানুসারে না লেখা; – পিপিও নম্বরের সাথে তারিখ না থাকা; – ১১ মাসের অধিক সময়ের বিল উপযুক্ত মঞ্জুরীপত্র ব্যতীত একসাথে প্রদান করা; – একই সময়ের সামরিক পেনশনের বিল একাধিক বার প্রেরণ করা; – মূল কপির পরিবর্তে বিলের ফটোকপি বা দুই প্রস্থের পরিবর্তে এক কপি প্রেরণ করা; ইত্যাদি। • ভুল বিলের কারণে অনেক অর্থ সামরিক বাহিনীর অর্থ নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পড়ে থাকে (১৮.০১.২০১৮ পর্যন্ত ৫৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা)।
শাখার সমস্ত পেনশনারদের প্রয়োজনীয় তথ্য সফটওয়্যারটিতে এন্ট্রি করতে হবে যা সফটওয়্যারটি ব্যবহারের শুরুর দিকে করে নিতে হবে।এর পর পেনশন গ্রহীতা যখন পেনশন নিতে আসবে, সে তার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাবে। শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পেইজ এ লগ ইন করে গ্রহীতার ইউনিক আইডি/নাম বা অন্য কোন ইউনিক তথ্য প্রদান করা মাত্র গ্রহীতার জন্য বরাদ্দকৃত নির্দিষ্ট পেইজ এ চলে যাবে। ঐ পেইজ এ পেনশন গ্রহীতার সর্বশেষ বিল পেমেন্ট এর তথ্য থাকবে। পাশাপাশি নতুন বিল প্রস্তুতের অপশন থাকবে। শুধু মাত্র কোন মাস থেকে কোন মাসের পেনশন দেয়া হবে তার নির্দেশনা দেয়া মাত্র সফটিওয়্যারটি সংক্রিয়ভাবে নতুন বিল প্রস্তুত করে দিবে। এছাড়া সফটিওয়্যারটিতে Arrear Bill/ Partial Bill হিসাব করার অপশন থাকবে। সফটিওয়্যারটির নিরাপত্তা বা ভুল-ত্রুটি পরিহার করার জন্য গ্রাহকের কোন মাসের বিল একবার প্রস্তুত করা হলে ঐ মাসের বিল কোন ভাবেই নতুন করে প্রস্তুত করা সম্ভব হবে না। নতুন বিল প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তার স্বাক্ষর সহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। সফটিওয়্যারটি প্রথমদিকে প্রতিটি শাখার জন্য Stand alone বা অফলাইন থাকবে। ধীরে ধীরে এটিকে অনলাইনে নিয়ে নেয়া যাবে। ফলে প্রধান কার্যালয় থেকে শাখায় অ্যাডভাইস প্রেরণ মূহুর্তেই সম্ভব হবে। কন্ট্রোলিং অফিস তথা প্রধান কার্যালয়/ বিভাগীয় কার্যালয়/ আঞ্চলিক কার্যালের নিয়ন্ত্রণ থাকবে সফটওয়্যারটির উপর। কন্ট্রোলিং অফিস প্রয়োজনীয় রিপোর্ট এই সফটওয়্যার থেকে পাবে।