প্রকল্প সমূহ

কর নির্ধারণ প্রক্রিয়া সহজীকরণের মাধ্যমে গ্রাহকের ভোগান্তি হ্রাস
“প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ ছাড় সহজীকরণ”

নাম ও বয়স সংশোধন সহজীকরণ


চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে রেজিষ্ট্রেশনের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের নাম, পিতার নাম/মাতার নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ ভুল হয়। উক্ত ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে অধিক সময় ও অর্থ ব্যয় হয় এবং সেবাগ্রহীতাকে একাধিক বার শিক্ষাবোর্ডে ভিজিট করতে হয়। ফলে পরবর্তীতে বিভিন্ন নাগরিক সেবা ও চাকুরী পেতে, উত্তরাধিকার সম্পত্তি বন্টন, পাসপোর্ট প্রাপ্তি, বিদেশ গমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নাম ও বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে ফি, আবেদনপত্র জমা দান, সাক্ষাৎকার প্রদান ও সংশোধিত কাগজপত্র উত্তোলনের জন্য একাধিকবার বোর্ডে যাতায়াত করতে হয়। ফলে তারা আর্থিক, শারিরীক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের সময়ের অপচয় হয়।

শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যমান ওয়েবসাইটে নাম ও বয়স সংশোধন এর লক্ষ্যে একটি অনলাইন ফরম তৈরী করা হবে। সেবা গ্রহীতা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে উক্ত অনলাইন ফরম পূরণ করবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে জমা দিবে। সেবা গ্রহীতাকে একটি রেফারেন্স নম্বর প্রদান করা হবে এবং তাকে আবেদনপত্রের একটি হার্ড কপি সংরক্ষণ করতে হবে। সেবা গ্রহীতা রেফারেন্স নম্বর ব্যবহার করে সোনালী সেবা/ মোবাইল ব্যাংকিং/ডেবিটকার্ড/ক্রেডিট কার্ড/ ইউক্যাশ, বিকাশ ইত্যাদির মাধ্যমে নির্ধারিত ফি জমা দিবে। আবেদনপত্র অনলাইনে জমা হওয়ার পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের ড্যাশবোর্ডে প্রেরিত হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমোদনের পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনায় নিয়ে নাম ও বয়স সংশোধন সংক্রান্ত আদেশ জারি করবে। অনলাইনে বা মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে তা সেবা গ্রহীতাকে জানানো হবে অথবা ড্যাশ বোর্ডের মাধ্যমে তা জানা যাবে। আদেশ জারির পর সংশ্লিষ্ট শাখা কম্পিউটার সেন্টারের সহযোগিতায় ডাটাবেজ সংশোধন ও সংশোধিত ডকুমেন্ট প্রস্তুত এবং অনলাইন তথ্য সংশোধন করবে। সংশোধন আদেশ প্রাপ্তির পর সেবা গ্রহীতা পূর্বোল্লিখিত অনুরুপ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংশোধিত কাগজপত্র পাওয়ার জন্য পুনরায় নির্ধারিত ফি জমাদানসহ অনলাইনে আবেদন করবে। উক্ত আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট শাখা প্রধানের নিকট যাবে। সংশ্লিষ্ট শাখা প্রধান আবেদনকৃত সংশোধিত মূল ডকুমেন্ট প্রস্তুতপূর্বক তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবেন এবং সেবা গ্রহীতাকে তা মোবাইল এসএমএস বা ড্যাশ বোর্ড এর মাধ্যমে অবহিত করবেন। অনলাইন তথ্য সংশোধনের জন্য সেবা গ্রহীতাকে পূর্বের ন্যায় কোন আবেদন জমা দিতে হবে না। বোর্ডের ওয়েবসাইটে সংশোধন আদেশ প্রকাশের পর সেবা গ্রহীতা বোর্ডে এসে পূর্বতন ডকুমেন্ট জমা দান করে সংশোধিত মূল ডকুমেন্ট উত্তোলন করবে।