প্রকল্প সমূহ

সূচনা- রোবোটিক বীজ ও সার প্রলেপক
ম্যাজিক রুম হিটার
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীতে অনেক মানুষ মারা যায় প্রতিবছর। রাতের বেলায় সেই শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। এ কারণে রাতের সময়টাতে যাতে ওই এলাকার দরিদ্র মানুষদের কিছুটা উষ্ণতা দেওয়া যায়, সে লক্ষ্যে ম্যাজিক রুম হিটার-এর উদ্যোগ নেওয়া। যাতে স্বল্প খরচে তারা একটুখানি উষ্ণতার ছোঁয়া পাবেন।
বায়োমেট্রিক পোস্টাল ক্যাশকার্ডের (স্মার্ট কার্ডের)মাধ্যমে ডাক বিভাগের সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাব পরিচালনা।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জাদুঘরের দর্শনীয় স্থানসমূহ ভ্রমন করা
কমবেশি ৫০ লাখ মানুষ প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন জাদুঘর ও ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করে। কমবেশি ৫০০ স্কুল ও কলেজ জাতীয় জাদুঘর ও ঐতিহাসিক স্থানে তাদের শিক্ষাসফর আয়োজন করে। এই দর্শনার্থীরা বর্তমান জাদুঘরের গ্যালারির ও ঐতিহাসিক স্থানের তথ্য সেবা সেভাবে পান না। এ কারণে বর্তমান সময়ের সমাধান হিসাবে ক্যাটালগ প্রকাশ এবং পেপার উপস্থাপনের মাধ্যমে গবেষক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিকে হয়তো তথ্য দেওয়া হয়; কিন্তু সাধারণ মানুষ ও নিঁচু শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সেটার নাগাল পান না। মোবাইল ফোনে জাদুঘর দর্শন একেবারে কম খরচে বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছানোর মাধ্যম, যেটা একেবারে প্রান্তিকের মানুষকে নিজ দেশের ঐতিহ্য দেখিয়ে গর্বিত এবং সেটা সংরক্ষণে আগ্রহী করতে পারে। দি সেন্টার ফর হেরিটেজ এডুকেশন বাংলাদেশ মোবাইল ফোনে জাদুঘর দর্শনের এই প্রকল্প এগিয়ে নেবে। এতে হাতের মুঠোয় চলে আসবে জাদুঘর পরিদর্শন।
আইনি সিদ্ধান্তের ডিজিটাইজেশন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং সিদ্ধান্তসমূহ আইনের অন্যতম উৎস হলেও সেটা জনগণের নাগালের বাইরে। উচ্চ সঙ্গতিসম্পন্ন আইনজীবীদের চেম্বার, বার সমিতির লাইব্রেরী এবং বিচারকদের লাইব্রেরীতে সংরক্ষণ করা হয়। তাও সবগুলি একস্থানে সংরক্ষিত হয় না। অনেক আগের ঢাকা ল’ রিপোর্ট বা ডিএলআর থেকে এগুলো খুঁজে নেওয়া তাদের জন্যও বেশ কষ্টসাধ্য। ছাত্র, বিচারক, আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন কর্মীসহ সকলের জন্য উচ্চ আদালতের রায় জানা প্রয়োজন হলেও তারা সেটা পান না। এমন অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আইনগত সিদ্ধান্তগুলোকে একটা ডাটাবেসের মধ্য নিয়ে আসতে এই প্রকল্প।
নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিবেশ বান্ধব বায়োলজিক্যাল সোলার সিস্টেম
নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সিলিকন সোলার প্যানেল বাংলাদেশে বর্তমানে সহজলভ্য। সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে প্রযুক্তিটির উপর বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই প্যানেলের উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি উৎপন্ন করা সেভাবে সম্ভব হচ্ছে না। প্রস্তাবিত বায়ো-সোলার সিস্টেমটি বাস্তবায়ন করা হলে তা গবেষণা, বাণিজ্য ও নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নতুন সম্ভবনার দ্বার উন্মোচিত করবে। বাংলাদেশে কার্বন ভিত্তিক জ্বালানির সীমিত মজুত অনেকটা ধরে রাখা সম্ভব হবে।
জলমগ্ন জমি আবাদযোগ্যকরণ পদ্ধতি
বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৫ লাখ ৬০ হাজার ৯৬৪ হেক্টর। এর মধ্যে ৭৪ লাখ হেক্টরের কিছু বেশি। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মতো জমি বর্ষাকালে জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ১২ মাস আবাদযোগ্য থাকে না। সেই অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা নেয়া হয়েছে এ প্রকল্পে। যাতে জমির এক প্রান্তে জলাধার তৈরি করে বারোমাস চাষাবাদের উপযোগী করা হবে সেখান থেকে পানি নিয়ে। আর সেচের ব্যবস্থা সোলার সিস্টেমে করায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
নির্বাক শৈলী
ইশারা ভাষায় পটু বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের খুব সহজে মূকাভিনয়ের মতো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শেখানো যেতে পারে। কিন্তু তাদেরকে মূকাভিনয় শেখাতে বাংলাদেশে কোনো সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি গড়ে ওঠেনি। এই প্রকল্পে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মূকাভিনয় ব্যাকরণ তৈরি করা হবে। ‘বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য ইশারা নির্ভর মূকাভিনয় ব্যাকরণ’ নামে সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের রাউন্ড-৬ এ প্রস্তাবিত এই আইডিয়া পুনরায় রাউন্ড-৭-এ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
পরিবারের সঙ্গে কারাবন্দির সংযোগ
কারাবন্দিদের সঙ্গে তাদের আত্মীয়-স্বজনের যোগাযোগ স্বতঃসিদ্ধ প্রক্রিয়া। কিন্তু দীর্ঘপথ যাত্রা করে সেখানে দেখা করতে এসে দুইটি বেড়া পেরিয়ে চিৎকার করে কথা বলতে হয় প্রিয়জনদের। এই প্রকল্পে বন্দিদের পূর্বে ঘোষিত ২ জন নিকটাত্নীয় কারা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই তার বন্দি আত্মীয়-স্বজনের সাথে নির্ধারিত সময়ের জন্য কথা বলতে পারবেন। তাদেরকে আসা-যাওয়ার সেই প্রক্রিয়া ফোন এসএমএসের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে।
ই-ফেয়ার ট্রেড
দেশে প্রান্তিক এলাকায় কুটির শিল্পের উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী অর্থনীতি ও বাণিজ্যের একটি বড় অংশ দখল করে থাকলেও তারা প্রযুক্তিবান্ধব পরিবেশ পান না। এ কারণে তাদেরকে যেমন অনলাইনের মাধ্যমে ভোক্তা বা ক্রেতা হিসাবে গড়ে তোলা যায় না। আবার তাদের উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের কোন স্থায়ী ব্যবস্থা না থাকায় আন্তর্জাতিক ভাবেও অত্যন্ত জনপ্রিয় কুটির শিল্পকে অনলাইনের মাধ্যমে নিয়মিত বিক্রি করা যায় না। এ প্রকল্পে একটি ইউনিক অনলাইন ফেয়ার ট্রেড প্লাটফর্ম তৈরী করা হবে। যেখানে উপস্থাপিত প্রতিটি পণ্যের মান নির্ধারণ, নিয়ন্ত্রণ, সুরক্ষা এবং উন্নয়নের জন্য প্লাটফর্মটি দায়িত্বশীল থাকবে।
ডায়ারোবো (ডায়াবেটিক সহকারী)
উপযুক্ত পরামর্শ এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনের মধ্যে আনতে পারলে ডায়াবেটিকের ভোগান্তি দমিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু ঠিকমতো ওষুধ নিতে ভুলে যাওয়া, ব্যায়াম না করা এবং ডাক্তারের পরামর্শের জন্য তথ্য সংরক্ষণ করায় তারা সেভাবে ফল পান না। সার্বক্ষণিক কেউ পাশে থেকে রোগীকে সহায়তা করাও দুরুহ। এই প্রকল্পের আওতায় ‘ডায়াবোরো’ মোবাইল অ্যাপ দিয়ে রোগীর সমস্যার আলোকে সার্বক্ষণিক সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার কাজ সম্পন্ন হবে।
বার্ডস অফ প্যারাডাইস
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর প্রতিবন্ধকতার ধরণ ও মাত্রা ভিন্ন হলেও তাদেরকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা ও থেরাপি দেওয়া হয় গতানুগতিক ধারায়। প্রায় একই ধরনের কিছু সেবা দেয়ায় অনেক সময় সেটা তাদের কোন কাজেই আসেনা। বরং অনেক ক্ষেত্রে তাদের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এ টু আই-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় ফাউন্ডেশন ফর বার্ডস অব প্যারাডাইস নামে একটি অটিজম ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন একটি বিশেষ স্কুল ও নার্সিং সেন্টার প্রবর্তন করা হবে। যা পরিচালিত হবে আইসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আধুনিক মানসম্মত ও কার্যকরী সেবা প্রদানের মাধ্যমে।