প্রকল্প সমূহ

কৃষি খামার ব্যবস্থাপনায় গ্রামীণ মহিলাদের চাহিদা মাফিক প্রশিক্ষণ প্রদান।
কৃষক পর্যায়ে মান সম্মত (আমন ধান) বীজ উৎপাদন এবং উৎপাদিত বীজের সুষ্ঠু বিতরণ/বাজার ব্যবস্থাপনা

কুইক এগ্রিকালচার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (QIAS) ব্যবহারের মাধ্যমে সময়মত কাংখিত কৃষি সেবা নিশ্চিতকরণ


চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

তথ্যের জন্যে কৃষকদের বিভিন্ন সময় উপজেলা কৃষি অফিসে আসার প্রয়োজন হয় এবং সময়, টাকা এবং যথেষ্ট চেষ্টা সত্তেও তারা তাদের প্রত্যাশিত তথ্য প্রাপ্তি অনিশ্চিত থেকে যায়। তাছাড়া সেবাগুলো সবসময় সব জায়গা থেকে পাওয়াও সম্ভব হয় না। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকগণকে হাতের কাছে কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে সঠিক সেবা ও তথ্য না পাওয়ার কারণে ২০-৩০ কিমি. দূরে পায়ে হেটে, ঘোড়ার গাড়ী, নৌকা এবং ভ্যানযোগে উপজেলা কৃষি অফিসে আসতে হয়। এতে তাদের অতিরিক্ত সময় ও অর্থেও অপচয় হয় এবং প্রচুর ঝামেলা পোহাতে হয়।

“কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা” নামে একটি এপ্লিকেশন ডেভেলপ করা হবে, যাতে করে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং এন্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে অফলাইন ভার্সনে কৃষিভিত্তিক তথ্য সেবাগুলো পাওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় সকল কৃষি প্রযুক্তির সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত “কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা” সফটওয়্যার ব্যবহার করে সেবা প্রদান করা । সেবা প্রদানের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পাশাপাশি বিকল্প সেবা পার্টনার সৃষ্টি করা হবে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪ (চার) টি ক্যাটাগরীর লোক নিয়ে সেবা পার্টনার নির্বাচন করা হবে। বিকল্প পার্টনারগণ হবে: ইউডিসি উদ্যোক্তা, সার, বীজ ও বালাইনাশক বিক্রেতা, কৃষক সংগঠন/ অগ্রগামী কৃষক প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি। সংশ্লিষ্ট সেবা পার্টনারদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান, সফটওয়্যারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ ও নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। প্রকল্প এলাকার কৃষকগণ সেবা পার্টনারের মাধ্যমে দোরগোড়ায় থেকে কৃষি ও তথ্য সেবা পাবে। এতে করে সময়, খরচ ও ভোগান্তি কমবে।