<p>ভৌগলিক অবস্থাগত কারণে বর্ষা মৌসুমে হাওড় এলাকার বিদ্যালয়ে গমনাগমণ শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিজ বাড়ীতে বছরের ৭-৮ মাস অলস সময় কাটায়। আনন্দদায়ক ও সহজে বোধগম্য শিক্ষা উপকরণ বা কৌশলের অভাবে ৩/৪ মাস সময় লেখাপড়া করে তাদের সিলেবাস শেষ করা সম্ভবপর হয় না। ফলে হাওড় অঞ্চলের শিশুরা লেখাপড়ায় দূর্বল হয়ে পড়ে। শিশুশিক্ষা দুর্বল হওয়ায় শিক্ষার্থীরা দূর্বল থেকে যায় এবং পরবর্তী পর্যায়ে বিদ্যালয়ে গমনে অনাগ্রহী হয়ে পড়ে। পরবর্তী পর্যায়ে ড্রপ আউট বেড়ে যায় এবং যারা ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান চালিয়ে যায় তারা দূর্বল শিক্ষার্থী রুপেই থেকে যায়।</p>
<p>বছরের শুরুতে প্রতি কেন্দ্রে কেন্দ্রশিক্ষক প্রাপ্ত শিক্ষা উপকরণের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করবে। শিক্ষার্থীরা প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যাজনিত কারণে কেন্দ্র/বিদ্যালয়ে বর্ষা মৌসুমে (এপ্রিল-অক্টোবর পর্যন্ত)গমন করতে পারে না বিধায় জানুয়ারী থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম জোরদার করা হবে। স্বল্পসময়ে ও আনন্দদায়ক পরিবেশে শিক্ষণ কার্যক্রম জোড়দার করার লক্ষ্যে ''অঙ্গুলীয় পদ্ধতির প্রয়োগ'' করা হবে। অঙ্গুলীতে বর্ণমালা শিক্ষার কৌশল হচ্ছে কেন্দ্র শিক্ষকের কাছে আঙ্গুলের বর্ণমালা আকৃতির ছবি থাকবে যা দেখে শিশুরা শিখবে এবং অক্ষর তৈরী তার দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হবে। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কোন শিক্ষা উপকরণ প্রয়োজন হবে না। এই পদ্ধতিতে ১ বছরে পাঠদান কার্যক্রম ৩/৪ মাসের মধ্যে শেষ করা সম্ভব।</p> <p>এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রাক প্রাথমিক স্তরের কেন্দ্র শিক্ষকদেরজন্য ৩ দিনের একটি ট্রেনিং কর্মসূচীর আয়োজনের করা হবে। এর মাধ্যমে আনুসাঙ্গিক বিষয়ের সাথে অঙ্গুলীয় পদ্ধতিতে অক্ষরজ্ঞানের ধারণা দেয়া হবে এবং বাস্তবে অঙ্গুলী দিয়ে অক্ষর তৈরির কৌশল শিখবে। শিক্ষকরা তাদের লব্ধ জ্ঞান শিক্ষার্থীদের শেখাবে। শিক্ষার্থীরা এই কৌশলটি তাদের শিশুসূলভ আচরণের মত (যেমন খেলা ধুলার মত)স্বয়ংক্রিয় ভাবে শিখে নিবে এবং লেখাপড়ায় আগ্রহী হয়ে উঠবে। </p>