<p><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;">মস্তিষ্কের স্ট্রোক, মাল্টিপ্ল স্ক্লেরোসিস, সেরিব্রাল পলসি, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি ইত্যাদি কারণে পায়ের পাতা ঝুলে পড়ে বা 'ফুট-ড্রপ' (foot-drop) এবং রোগী ঠিকমত হাঁটতে পারেন না। সাধারণ চিকিৎসাতেও তা অনেকসময় ভাল হয় না। বিশেষ করে স্ট্রোক রোগীদের শতকরা প্রায় ২০ ভাগ রোগীরই অল্প বা বেশী স্থায়ী ফুট-ড্রপ থেকে যায় (যুক্তরাজ্যের সমীক্ষা অনুযায়ী)। বাংলাদেশে স্ট্রোক রোগী ১৯৯০ থেকে বিশেষভাবে বেড়ে চলেছে। ২০১৩ সালে প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ১১৪ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন যা দক্ষিণ এশিয়া (৬৪) বা গোটা পৃথিবী (৯০) এর গড় সংখ্যা থেকে অনেক বেশী। অতএব ফুট-ড্রপ রোগী রোগীও অনেক বেশী হবে, যদিও তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই।</span><br></p><div><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;"><br></span></div>
<p><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;">উল্লিখিত রোগগুলির মধ্যে সাধারণ চিকিৎসায় যারা ভাল না হয় তাদের পায়ের একটি স্নায়ুকে (পেরোনিয়াল নার্ভ) হাঁটার সময়ে সঠিক মুহূর্তে বৈদ্যুতিক স্টিমুলেশন দিয়ে পায়ের পাতাকে উপরে উঠিয়ে দেয়া যায়। একে বলা হয় Functional Electrical Stimulation (FES), এর মাধ্যমে রোগী অনেকটা স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারেন। তবে ঠিক কোন মুহূর্তে স্টিমুলেশন দিতে হবে তা নির্ধারণ করাটি বিশেষভবে জটিল। পায়ের অন্য কোন কার্যকরী মাংসপেশী থেকে বৈদ্যুতিক সঙ্কেত উদ্ধার করে তার থেকে একটি বিশেষ সময় পরে স্টিমুলেশন দিলে রোগী ভালভাবে হাঁটতে পারবেন। হাঁটার গতি বাড়াতে বা কমাতে চাইলে এ সময়টিকেও কম বেশী করতে হবে। সে গতিটিকেও উল্লিখিত মাংসপেশীর সঙ্কেত থেকে উদ্ধার করা যাবে। এর জন্য আমাদেরকে মাইক্রোকন্ট্রোলার অন্তর্ভুক্ত করে একটি ইলেকট্রনিক সার্কিট উদ্ভাবন ও ডিজাইন করতে হবে। বিদেশেও এধরণের যন্ত্র আজকাল পাওয়া যাচ্ছে এবং ফুট-ড্রপ রোগীদের উপর এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বিদেশে তৈরী এ সব যন্ত্র অনেক দামী এবং নষ্ট হলে দেশে ঠিক করা যায় না। তাই স্থানীয়ভাবে ডিজাইন করে উন্নয়ন করলেই জনগণ সুলভে এ সেবা পেতে পারবেন।</span><br></p><div><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;"><br></span></div>