শ্রেণীকক্ষে গতানুগতিক পদ্ধতিতে আরবি ভাষা পাঠদান করায় শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষার চারটি দক্ষতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়।তারা কুরআন-হাদিসের সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারেনা।নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারেনা।দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখতে পারেনা। তাছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠ বুঝতে না পারায় তাদের মধ্যে একপ্রকারে ভীতি কাজ করে, অনেক সময় শিক্ষকের অহেতুক রাগ করা বা শাস্তি প্রদান করার কারণে শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহণে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে না। আধুনিক শিক্ষাপোকরণ ব্যবহার না করায় শিক্ষার্থীর কাছে পাঠটি অনেক ক্ষেত্রে অস্পষ্ট থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহণে অমনোযোগী হয়ে পড়ে। তাদের ফলাফল খারাপ হয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। এমনকি শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে বিপথগামী হয়ে পড়ে।তারা পরিবার ও সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।তাছাড়া আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে না পারায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ভালো ও সম্মানজনক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারেনা।এমনকি তাদের পক্ষে দেশ ও জাতির উন্নয়নে আরব বিশ্ব থেকে কাঙ্খিত পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়না।
• পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। • আরবি ভাষার শ্রেণী কক্ষে আরবিতে কুশল বিনিময় করা। • নিয়মিত বাড়ীর কাজ আদায় ও মৌখিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা। • শ্রেণী কক্ষে আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ও ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহার করা। • অংশগ্রহণ মূলক পদ্ধতিতে পাঠদান করা। • জোড়ায়/দলীয়ভাবে ভাবে নির্ধারিত পাঠের অনুশীলন করানো। • শিখন ফল যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। • আরবি পাঠকে সুপাঠ্যে পরিণত করতে আরবি পত্রিকা, ম্যাগাজিন, কার্টুন,চিত্র ইত্যাদি উপস্থাপন করা। • নিয়মিত বাড়ির কাজ প্রদান করা ও দৈনন্দিন জীবনে আরবিতে কথা বলার জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা। • পাঠ সংশ্লিষ্ট ভিপকার্ড, পোস্টার ইত্যাদি শ্রেণী কক্ষে টানানো। • ক্যাপচারিং লার্নিং পয়েন্ট মূল্যায়ন করা। • উৎসাহ ও অভয় প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মন থেকে আরবি ভাষা ভীতি দূর করা।