o পরোয়ানা নির্ধারিত ছাপানো ফর্মে লিপিবদ্ধ করতে ফরম প্রয়োজন হয় o ডাক মারফত অথবা বাহকের মাধ্যমে জেলার অভ্যন্তরে অথবা বাইরের জেলায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়/কোর্ট পুলিশ/থানায় প্রেরণ করতে সময়, জনবল ও অর্থ খরচ হয় o পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে, কোর্ট পুলিশ (বাইরের জেলায় হলে ঐ জেলার কোর্ট পুলিশ ও এসপি অফিস) ও থানায় ভিন্ন ভিন্ন রেজিস্টারে প্রায় একই তথ্য অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এতে শ্রম, সম্পদ ও সময় ব্যয় হয় o NER বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদালতে যথাসময়ে পৌছায় না এবং আদালত না জানার কারণে বিচার বিলম্বিত হয় ও আদালতে মামলাজট তৈরী হয় o অনেক সময় পরোয়ানার আসামিরা গ্রেফতার হওয়ার পূর্বেই আদালতে হাজির হয়ে জামিন হন কিন্তু অনেক ধাপ থাকায় এ তথ্যটি থানায়, কখনও কখনও কোর্ট পুলিশে যথাসময়ে পৌছায় না। ফলে রেজিস্টারসমূহ হালনাগাদ হয়না। o অন্যদিকে থানা না জানার কারণে তারা আসামির ঠিকানায় অভিযান অব্যাহত রাখে ফলে শ্রম নষ্ট হয় o কখনও কখনও জামিন প্রাপ্ত ব্যক্তিও হালনাগাদ তথ্য না থাকার কারণে পুলিশের দ্বারা হয়রানি হয় o ভিন্ন জেলার পরোয়ানার ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন আসামির ঠিকানার জেলায় থানা ও কোর্টে রেজিস্টার হালনাগাদ হয় না o হাতের লেখা সবসময় সুপাঠ্য হয়না; o অনেক সময় বানান ও নাম ঠিকানা ভুল অথবা অসম্পূর্ণ ফরম পূরণের কারণে পরোয়ানা তামিল সম্ভব হয় না এবং তা সংশোধণের জন্য পুনরায় আদালতে ফেরত পাঠানো হয় ফলে সময়, অর্থ, জনবল খরচ হয়; o থানায় সকল ওয়ারেন্ট অন্তর্ভূক্ত করা থাকে না o অনেক ব্যক্তির সংশ্লেষ থাকায় ভুল হয় ও সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ প্রভাবিত হয়ে বিলম্ব করার সুযোগ থাকে; o সঠিক পরিসংখ্যান থাকে না o ভুয়া ওয়ারেন্ট ইস্যু হয় o ভুয়া জামিন নামা ব্যবহার হয় তথ্যের সঠিকতা না থাকায় নিয়মিত তদারকি কর যায় না
o ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেজড্ সফট্ ওয়ার তৈরি করা হবে । o ৬৪ জেলার বিভিন্ন আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ হওয়ার পর বিজ্ঞ বিচারকের তত্ত্বাবধানে একজন অপারেটর আসামীর তথ্য এই ডাটাবেজে লগইন করে এন্ট্রি দিবেন । o সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ সার্ভারে লগইন করে তাৎক্ষণিক তা জানবেন ও পরোয়ানাটি প্রিন্ট করে অফিসারদের মাঝে তামিলের জন্য বন্টন করবেন o পরোয়ানা ফরমটি আদালত থেকে থানা পর্যন্ত পৌঁছাতে ৩/৪ টি দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা, বাহক/ডাক বিভাগ, বিভিন্ন রেজিস্টারে একই তথ্য অন্তর্ভূক্তি ইত্যাদি প্রয়োজন হবে না o পরোয়ানা তামিলের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক তা থানা কর্তৃক সার্ভারে এন্ট্রি হবে ফলে আলাদাভাবে প্রতিবেদন-এর প্রয়োজন হবে না o থানা অথবা আদালতের কাজের অগ্রগতি সংশ্লিষ্টরা তাৎক্ষণিক জানতে পারবেন o তথ্য গোপনের সুযোগ থাকবে না ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদারকি সহজতর হবে o স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে