অনেক সময় তৃতীয় পক্ষের (দালাল) মাধ্যমে বা দালার ধরে গ্রাহক ব্যাংকে আসে। এসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দাখিল করে ঋণ গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করার পর ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহক ও তার কাগজ পত্রাদি যাচাই বাছাই করে। এর পর সরেজমিনে তদন্ত করা হয়। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সার্চ রিপোর্ট প্রস্তুত, CIB ইনকোয়ারী ও রিপোর্ট প্রাপ্তি, অ্যাডভোকেটের আইনগত মতামত গ্রহণ সাপেক্ষে জোনাল কার্যালয়ে ঋণ কেস প্রেরণ ও মঞ্জুরীতে দীর্ঘসূত্রিতাসহ গ্রাহক ভোগান্তি ও তৃতীয় পক্ষের সুবিধা নেয়ার সুযোগ থাকে। ঋণ পেতে গ্রাহকের সময় বেশি লাগে, খরচ বেশি হয় ও বারবার অফিসে আসতে হয়। সর্বোপরি গ্রাহক চরমভাবে হয়রানির শিকার হয়।
• ঋণ গ্রহনেচ্ছুক যে কোন গ্রাহক ব্যাংকে না এসে স্ব স্ব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (UDC)/নিজ মোবাইল থেকে শাখার ই-মেইলে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। • অতঃপর ব্যাংক কর্তৃক প্রাথমিক আবেদন পত্র যাচাই বাছাই অন্তে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ঋণ বিতরণের ব্যাপারে গৃহীত সিদ্ধান্ত তৎক্ষনাৎ শাখার ব্যবস্থাপক/সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ঋণ গ্রহীতার সরবরাহকৃত মোবাইল নম্বরে ফোন/SMS করে তার আবেদন গ্রহন বা প্রত্যাখ্যান এর ব্যাপারে জানাবেন। • আবেদন গ্রহনযোগ্য হলে তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল, হিসাব খোলা, ঋণ প্রক্রিয়াকরণ ফি ও CIB ফি জমা করতে বলবেন। • নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত তারিখে সংশ্লিষ্ট ঋণ আবেদনকারী প্রথম বার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ স্বশরীরে ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে কাগজপত্র দাখিল করবেন। অতঃপর ব্যাংক শাখা কর্তৃক দ্রুততার সহিত ঋণ কেস প্রক্রিয়াকরণ করে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে ঋণ গ্রহীতার সরবরাহকৃত মোবাইল নম্বরে ফোন/SMS করে গ্রাহককে ব্যাংকে এসে ঋণ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হবে। • (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ই-মেইলের মাধ্যমে CIB রিপোর্টিং, প্রক্রিয়াকরণ করে soft copy (PDF আকারে) জোনাল ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে প্রধান কাযালয়ে ই-মেইলে করা হবে এবং ঋণ কেসটি পিডিএফ আকারে জোনাল ব্যবস্থাপক বরাবর পাঠানো হবে। জোনাল ব্যবস্থাপক কর্তৃক ঋণ মঞ্জুরী পরবর্তী মঞ্জুরীপত্রটি ই-মেইলের মাধ্যমে সংগ্রহ করে তৎক্ষনাৎ ঋণ গ্রহীতাকে মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাংকে এসে ঋণ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হবে। এবং ডকুমেন্টেশন সম্পাদন করে গ্রাহকের স্বাক্ষর নিয়ে ঋণ বিতরণ করা হবে।