প্রকল্প সমূহ

বাংলা ও সি আর
অনলাইনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র
ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্ষুদ্র, মাঝারি কিংবা বৃহৎ সব ধরনের ব্যবসায় কিংবা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করতে গেলে এই ছাড়পত্র অত্যাবশ্যক। কিন্তু সেটা পেতে জনগণকে ভোগান্তির শিকার হতে হয় নানাভাবে। অনলাইনেই যদি পাওয়া যায় সেই ছাড়পত্র, তবে সেটা কেমন হবে? সেটার পথ বের করতে সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় এটুআই ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের অনলাইন সেবার পরিধি বর্ধিতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
ডেভেলপমেন্ট অফ মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট ওয়েব পোর্টাল উইথ মোবাইল ইন্টারাক্টিভিটি
যাতায়াত কিংবা পণ্য পরিবহনে নানা মাধ্যমের দ্বারস্থ হয় আমরা। কিন্তু সেই পরিবহন প্রাপ্তিতে কতোটা সময় কিংবা চেষ্টা চালাতে হয় সেটা কম-বেশি সবার জানা। ওয়েবপোর্টালে কিংবা মুঠোফেনে যদি ঘরে বসেই ওই পরিবহন ভাড়া করা সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়া যায়, তবে সেটা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা কিংবা যোগাযোগের পথ সুগম করে দিবে নিশ্চয়। তাই, সকল পরিবহনের সকল তথ্য এক জায়গায় করার জন্য এ টু আই-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের প্রকল্প ‘মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট ওয়েব পোর্টাল ইনক্লুডিং মোবাইল ইন্টার্যাইক্টিভিটি’।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জীবন বীমা কর্পোরেশনের বীমা দাবি প্রদান
অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি স্থানান্তরের আইনসিদ্ধ প্রক্রিয়া বীমা পদ্ধতি; সেটা জীবনবীমা, স্বাস্থ্যবীমা কিংবা অগ্নীবীমা যাহাই হোক না কেন। কিন্তু কিছু অসৎ ও প্রতারকের কারণে বীমার দাবিদাররা বঞ্চিত হন অনেক সময়। সেই প্রতারণা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে এ টু আই-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের ‘মোবাইল ফোনে জীবন বীমা কর্পোরেশনের সেবা প্রদান’ প্রকল্প।
মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক
বাংলাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা আড়াই লাখে দাঁড়িয়েছে। এর মাঝে বহুসংখ্যক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে, স্বাক্ষর রাখছে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার। কিন্তু তাদের জন্য সহায়ক ব্রেইল পদ্ধতির বই প্রাপ্তি ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। এর বিপরীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের অডিও এবং প্রতিবন্ধীদের উপযোগী বই তৈরির জন্য এটুআই প্রকল্পের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের ‘মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক’ প্রকল্প।
মোবাইল এসএমএস সার্ভিসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সেবা
মানুষের সঙ্গে সরকারের প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ও পশু চিকিৎসকদের যোগাযোগের অভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দুর্গম এলাকার হাঁস, মুরগী, গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়া পালনকারী ও অন্যান্য খামারীদের কাছে সেবা ঠিকমতো পৌঁছায় না। কৃষক ও খামারীদের কাছে সহজে তথ্য পৌঁছে দিতে যে তথ্য ভান্ডার তৈরি করা প্রয়োজন এবং সেটার তথ্য এসএমএসে ছড়িয়ে দেওয়ার দিতে ‘গাজীপুর জেলার মোবাইল এস.এম.এস সার্ভিসের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সেবা প্রদান প্রকল্প’। প্রথমত গাজিপুর জেলা থেকে শুরু হওয়া প্রযুক্তিনির্ভর এই সেবা ক্রমান্বয়ে পৌঁছে দেয়া যাবে দেশের প্রতিটি জেলায়।
বস্ত্র পরিদপ্তরের ই-সেবা
বাংলাদেশের যেকোনো টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস কারখানা পরিচালনায় বস্ত্র অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। এখন পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার ৫৪২টি টেক্সটাইল মিল ও গার্মেন্টস কারখানা এটার নিবন্ধন নিয়েছে। সনাতন ব্যবস্থায় এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ ও সময় সাপেক্ষ। সেটা থেকে মুক্ত হতে এ টু আই-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় বস্ত্র পরিদপ্তরের উদ্যোগ ‘বস্ত্র পরিদপ্তরের ই-সেবা’।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ক্ষুদে বার্তাভিত্তিক সার্টিফিকেট গ্রহণপূর্বক বিবাহ নিবন্ধন
‘ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিচার্স ইন্সটিটিউটের(আইএফপিআরআই) এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৫ সালে ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের হার শতকরা ৫ দশমিক ৪ ভাগ, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের বিয়ের হার ৩৭ দশমিক ৮ ভাগ৷ সব মিলিয়ে বাল্য বিবাহের হার শতকরা ৪৩ দশমিক ২ ভাগ৷ এমন হারের বাল্যবিবাহ নিরোধের জন্য জন্ম নিবন্ধন কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে বয়স নির্ধারিত হওয়া দরকার। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাল্যবিবাহ কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সেই লক্ষ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মোবাইল ফোনের ক্ষুদে বার্তাভিত্তিক সার্টিফিকেট গ্রহণপূর্বক বিবাহ নিবন্ধন প্রকল্প’। যার আংশিক আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এ টু আই-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড থেকে।
প্রযুক্তি হাতে জয়িতা
বাংলাদেশে তথ্যের অভিগম্যতায় অনেক পিছিয়ে আছে গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগণ, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে সেটার অভাব আরও প্রকট। সেজন্য নারীর উন্নয়ন সংক্রান্ত বহুবিধ তথ্য এক জায়গায় করা এবং সেগুলোর প্রাপ্তির পথ সহজ করা দরকার। আর ই-কমার্স প্রভূত প্রসারের এই সময়ে গ্রামীণ নারীদের জন্য ভার্চুয়াল মার্কেট প্লেস তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ। এটুআই সে লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছে এবং সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ‘প্রযুক্তি হতে জয়িতা’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের তথ্য ও সেবা কেন্দ্র
আমাদের দেশের প্রায় সকল উদ্ভাবনী উদ্যোগ বা সুবিধা সমূহ সাধারণ সুস্থ জনগণ কেন্দ্রিক। কিন্তু যারা শারীরিক ভাবে অক্ষম বা প্রতিবন্ধী তাদের জন্য কিছুটা বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। কারণ তাদের চাহিদা সাধারণ সুস্থ জনগণ থেকে কিছুটা ভিন্ন। মূল ধারার সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করা তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই মানুষদের সেবার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য ‘শারীরিক প্রতিবন্ধীদের তথ্য ও সেবা কেন্দ্র’ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ভিজ্যুয়ালি ইমপ্যায়ার্ড সোসাইটি; যেটার সহযোগিতা দিচ্ছে এ টু আই-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড।
জরুরি সেবার মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন
মোবাইল ফোনে আমরা কত কাজই না করি! কথা বলা, এসএমএস আদান-প্রদানের গণ্ডি পেরিয়ে এটার ব্যবহার অসংখ্য দিকে। আবার এর মধ্যেই যদি বাংলাদেশের সব পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতালের মতো জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের এলাকা ভিত্তিক সব নম্বর এবং ঠিকানা সংরক্ষিত থাকে সেটার উপযোগিতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে নিশ্চয়। সেইসঙ্গে যদি নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার দিকনির্দেশ থাকে সেটা হবে আরও সুবিধাজনক। এমনই চিন্তা থেকে ‘জরুরি সেবার মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন’ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে এ টু আই-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড।
কৃষকের জানালা
বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ কৃষক প্রান্তিক এলাকায় থাকেন এবং তারা সুবিধাবঞ্চিত ও জ্ঞানসম্পন্ন নন। তাদের অধিকাংশ বালাইনাশক, শস্যের রোগসহ নানাদিক নিয়ে ওয়াকিফহাল নন। তাদের অনেকে বুঝতে পারেন না ফসলের ক্ষতি কেমন করে হলো। এসব কৃষকরা ফসলের সমস্যা চিহ্নিতকরণ, বালাইনাশক ব্যবহার ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ফসল লাগানোর বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য পান না। এসব ক্ষেত্রে তাদের তথ্য প্রাপ্তির পথ করে দিতে এটুআই প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড (এসআইএফ)-এর সহায়তায় বাস্তবায়িত উদ্যোগ ‘কৃষকের জানালা’।