<p>উপজেলার বেকার, দরিদ্র ও অসহায় মহিলা/নারীদের আত্নকর্মসংস্থানের উদ্দ্যেশে বিভিন্ন দপ্তর হতে বহুবিধ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় । কিন্তু , প্রশিক্ষণ পরবর্তী যথাযথ Follow Up ও প্রশিক্ষণ গ্রহীতাদের নেটওয়ার্কিং দুর্বলতার কারণে আত্মবিশ্বাস, উদ্যোগ ও দক্ষতার অভাবে উক্ত নারীগন যথাযথ আত্নকর্মসংস্থানের মাধ্যমে সাবলম্বী হওয়া বা তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছে ।</p>
<p style="margin-left:.25in">প্রথমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে) নারীদের একটি তালিকা বা ডাটাবেজ তৈরী করা। যেসকল নারী সেলাই প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন অথচ কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে পারছেননা, তাকে প্রাতমিক পর্যায়ে অন্য টেইলরিং শপের কাপড়ের একটি অংশ সেলাই করার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হবে। অন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের জন্য উপজেলা সদরে বা সুবিধাজনক গ্রোথসেন্টারে একটি সেলস সেন্টার বা শোরুম স্থাপন,ফলে নারীরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজে ও ন্যায্য দামে বিক্রয় করার সুযোগ পাবে। উৎপাদিত পণ্যের চাহিদার ভিত্তিতে তাকে নতুন কাজের অর্ডার দেয়া হবে। এছাড়া সেলস সেন্টারে নিয়োজিত কর্মচারী বা উপজেলা কর্মকর্তাদের (সংশ্লিষ্ট) তত্ত্বধায়নে নারী সংগঠনের কর্মকর্তাগণ নতুন অর্ডার সংগ্রহ এবং গ্রাহক বা ক্রেতা সংগ্রহের চেষ্টা করবে । পন্য নয় এমন সেবা যেমন দর্জিবিদ্যার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদেরকে নেটওয়ার্কিং এর আওতায় এনে তার কাজের ক্ষেত্র তৈরী করা, যার ফলে ফলে সেবা এবং উৎপাদিত পন্য বাজার সম্প্রসারিত হবে। এছাড়া পরবর্তী পর্যায়ে বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে পন্যের মান উন্নয়নে ICT প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন ডিজাইন বা পণ্য বা সেবা তৈরী/সৃষ্টির জন্য বর্ণিত নারী সংগঠনের কর্মকর্তাগণ প্রয়াস পাবেন । ফলশ্রুতিতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নারীগন অধিক হারে আত্নকর্মসংস্থানে উৎসাহিত হবে । তাদের উৎপাদিত পণ্যের মান ও বাজার বৃদ্ধি পাবে, আয় বাড়বে এবং আতব-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হবে। ফলে তারা এবং তার পরিবারের সদস্যদের আর্থ-সামাজিক ঊন্নয়ন সাধিত হবে।</p>