প্রকল্প সমূহ

কচুরিপনা থেকে সবুজ সার
দৈনন্দিন মৌলিক চিকিৎসার অটোমেটেড স্মার্ট সহকারী

ফরমালিন প্রতিরোধে কাইটোসানের প্রিজারভেটিভ


মাছ, ফল এবং অন্যান্য খাবারে ফরমালিনের ব্যাপক ব্যবহার জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। সাধারাণত যে কেমিক্যাল মৃতদেহ পচনরোধে ব্যবহার হতো, এখন তা খাদ্য তাজা, আকর্ষণীয় ও সংরক্ষণে ব্যবহার হচ্ছে। চিংড়ি মাছের খোসা থেকে কাইটোসান নামক একটি উপাদান আহরণ করা হচ্ছে, যেটা দিয়ে খাদ্য সংরক্ষণে প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ বানানো সম্ভব। সেটা বিষাক্ত ফরমালিনের পরিবর্তে খাদ্য সংরক্ষণের নিরাপদ ব্যবস্থায় পরিণত হবে।

চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

সাম্প্রতিক সময়ে ফরমালিনের মত ক্ষতিকর প্রিজারভেটিভের কারণে খাদ্যে ভেজাল হচ্ছে, যা একটি প্রধান স্বাস্থ্য ইস্যু। মাছ, ফল এবং অন্যান্য খাবারে ফরমালিনের ব্যাপক ব্যবহার জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ঘটাচ্ছে। সাধারাণত যে কেমিক্যাল মৃতদেহ পচনরোধে ব্যবহার হয় তা এখন খাদ্য তাজা, আকর্ষণীয় ও সংরক্ষণে ব্যবহার হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত জনগণ এই ব্যাপারে সচেতন নয়, এবং তারা ফরমালিন মিশ্রিত খাবার খাচ্ছে। যা তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি ঘটাচ্ছে। আইন প্রয়োগের উদ্যোগ থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত খাদ্যে ভেজাল হচ্ছে এবং মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

চিংড়ি মাছের খোসা থেকে কাইটোসান নামক একটি প্রাকৃতিক উপাদান আহরণ করা হয়েছে। যা গামা বিকিরণ শক্তির মাধ্যমে পরিবর্তন করে খাদ্য সংরক্ষণের জন্য প্রিজারভেটিভ হিসাবে ব্যবহার করা যায়। গবেষণাগারে ক্ষুদ্র পরিসরে বিভিন্ন ফলমূল, সবজি ও মাছের উপর গবেষণায় ইতোমধ্যে এর অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। বর্তমানে গবেষণাগারে বৃহৎ পরিসরে উদ্ভাবিত প্রাকৃতিক খাদ্য প্রিজারভেটিভের কার্যকারিতার পরীক্ষা চলছে। উদ্ভাবিত পদ্ধতিটি অত্যন্ত ব্যয়-সাশ্রয়ী ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। উদ্ভাবিত প্রাকৃতিক খাদ্য প্রিজারভেটিভ বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা হলে বিষাক্ত ফরমালিনের ব্যবহারের কোন প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। ফলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক অতিক্রম করা সম্ভব হবে।