হেঁটে বা পরিবহন করে প্রাণিকে হাসপাতালে নেয়া কষ্টসাধ্য ও ব্যযবহুল হওয়ার কারণে মালিকগণ সবসময় প্রাণিকে টিকা দেয়া ও ডিওয়ার্মিং এর জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন না। ফলে সকল প্রাণীকে সঠিকভাবে টিকা ও কৃমিনাশক প্রদান করা সম্ভব হয়না। টিকা অপর্যাপ্ত বলে একটি প্রাণির জন্য একটি ভায়াল ব্যবহার করলে মালিককে সম্পূর্ণ ভায়ালের মূল্য পরিশোধ করতে হয় বলে প্রাণিমালিক আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া ব্যবহৃত ভায়ালের অবশিষ্টাংশ পরবর্তীতে ব্যবহার যোগ্য নয় বলে টিকার অপচয় হয়।
গ্রাম/ ওয়ার্ড ভিত্তিকডি-ওয়ার্মিং ও টিকাদান কমিউনিটি গ্রুপ গড়ে তোলা হবে। তাদের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট এলাকার গবাদি প্রাণি পালন কারীদের নাম, প্রাণির বিবরণ ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ডেটাবেইজ তৈরী করা হবে। তারপর গবাদি প্রাণির মালিকদের চাহিদা অনুসারে অথবা রুটিন ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উল্লেখিত ইউনিয়নের নির্ধারিত গ্রামের গবাদি প্রাণির মালিকদের ডি-ওয়ার্মিং ও টিকাদানের তারিখ, সময় ও স্থান ও টিকার ধরণ উল্লেখ করে এসএমএস প্রেরণ করা হবে এবং কমিউনিটি গ্রুপের সহায়তায় পূর্ব হতেই তারিখ, সময় ও স্থান প্রচার করা হবে। নির্ধারিত তারিখে কমিউনিটি গ্রুপের সহায়তায় ভিএফএ / স্থানীয় কমিউনিটির প্রশিক্ষিত ভ্যাকসিনেটর কর্তৃক ডি- ওয়ার্মিংও টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। ডিওয়ার্মিং নিশ্চিত করার জন্য ভ্যাটানারী মেডিসিন বিক্রেতা / মেডিকেল রিপ্রেনটেটিভ এর উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।পাইলটিং প্রকল্প হিসাবে একটি ইউনিয়ন কেডি-ওয়ারমিং ও টিকাদান কার্যক্রমের জন্য বেছে নেয়া হবে।